আ হ জুবেদঃ জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা অনাকাঙ্ক্ষিত কাহিনী থেকে ক্ষুদ্র ১টি অংশ ”আমি চলে যাবো তুমার আগে,তুমিই লিখো বন্ধু আমার শেষ খবর”
মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসীদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর হার আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। আর এনিয়ে বিশেষ করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল গুলোর রাষ্ট্র প্রধানরা।
আমি শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েতের কথাই বলছি, গত ২ বছর ধরে কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীদের অস্বাভাবিক মৃত্যু আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক অনেক বেড়ে গেছে।
আর এসব মৃত্যুর সংবাদ আমিই বেশি প্রচার করে চলেছি, টিভিতে ও নিউজ পোর্টালে।
অবশ্য সুযোগ আছে বলেই নিহত প্রবাসীদের মৃত্যুর সংবাদ গণমাধ্যমে তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে।
কিন্তু এসব মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করতে গিয়ে একটা সময় খোদ আমি নিজেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি, এমনকি ভয় পেয়ে ফেসবুকে একাধিক স্ট্যাটাসও করেছিলাম।
-প্রবাসীদের অস্বাভাবিক মৃত্যু, একটি মৃত্যুর সংবাদ লেখা শেষ করতে না করতেই আরেকটি মৃত্যুর সংবাদ দুয়ারে হাজির।
– ভয় হচ্ছে, আমার মৃত্যুর সংবাদ যদি আসে ঠিক এমন করে, যেমন করে আমি লিখছি আজ তাঁদের মৃত্যুর সংবাদ।
*একদিন কথা প্রসঙ্গে এস এম আব্দুল আহাদকে বললাম, আমি তো অনেকেরই মৃত্যুর সংবাদ লিখছি, কিন্তু যদি এভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুটি আমার জন্য অবধারিত হয়, তাহলে সেদিন আমার মৃত্যুর সংবাদটি তুমি লিখবে তো?
আহাদের উত্তর ছিল ঠিক এরকম, আরে -না ভাই তুমি মরতায় নায়, আল্লাহ্ তোমার হায়াত দেউক।
কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, অগণিত স্মৃতি জড়িত আজ মৃত্যুর সংবাদ লিখছি আহাদের, কিন্তু সেদিন আহাদ কেন বললোনা একথা যে, আমি চলে যাবো তুমার আগে,তুমিই লিখো বন্ধু আমার শেষ খবর।